Posted inBlogging Tips

আর্টিকেল লেখার নিয়ম, ইউনিক ও এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম

কিভাবে ইউনিক ও এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল ‍(SEO Friendly Article) লিখবেন সেই বিষয়েই আজকের আলোচনা। একটি ওয়েবসাইটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে কন্টেন্ট বা আর্টিকেল। ব্লগসাইট আর্টিকেল ছাড়া মূল্যহীন। তবে এই আর্টিকেল লেখার বেশ কিছু নিয়ম কানুন রয়েছে। নিয়ম কানুন না মেনে আর্টিকেল লিখলে সেই আর্টিকেলের তেমন মূল্য নেই।

Read More – ব্লগিং কি? ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়

ঠিকানা রিসোর্ট, ঠিকানা রিসোর্ট খরচ, ঠিকানা রিসোর্ট কোথায়,

ভাওয়াল রিসোর্ট খরচ, ভাওয়াল রিসোর্ট এন্ড স্পা

মেয়েদের জন্য কোন ফেসওয়াশ সবচেয়ে ভালো

ভোটার স্লিপ দিয়ে আইডি কার্ড ডাউনলোড

ট্রেড লাইসেন্স করার নিয়ম

আমরা অনেকেই ব্লগিং শুরু করেছি বা শুরু করার কথা ভাবছি তারা অনেকেই ইউনিক ও এসইও ফ্রেন্ডলী আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানি না। তাই আজকের এই আর্টিকেল থেকে আমরা জানবো কিভাবে একটি ইউনিক ব্লগ বা আর্টিকেল তৈরি করতে হয়। আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

আর্টিকেল লেখার নিয়ম, ইউনিক, কোয়ালিটিফুল ও এসইও ফ্রেন্ডলী আর্টিকেল লেখার নিয়ম ২০২৩
ইউনিক ও এসইও ফ্রেন্ডলী আর্টিকেল লেখার নিয়ম

Table of Contents

কন্টেন্ট বা আর্টিকেল কত প্রকার

আর্টিকেল বা কন্টেন্ট রাইটিং এর অনেক ধরনের প্রকারভেদ রয়েছে। একেক ওয়েবসাইটে একেক ধরনের কন্টেন্ট প্রকাশ করা হয়। সেই অনুসারে আর্টিকেল এর বিভিন্ন ধরণ হতে পারে

  • এসইও কন্টেন্ট রাইটিং
  • এফিলিয়েট আর্টিকেল রাইটিং
  • ব্লগ আর্টিকেল রাইটিং
  • নিউজ/পত্রিকা কন্টেন্ট রাইটিং
  • ম্যাগাজিন আর্টিকেল রাইটিং
  • এক ভাষা থেকে অন্য ভাষা অুনবাদ
  • প্রোডাক্ট আর্টিকেল রাইটিং
  • স্টোরি আর্টিকেল রাইটিং

এছাড়াও আরোও অনেক ধরনের আর্টিকেল রয়েছে। তবে এই আর্টিকেল থেকে আপনারা জানতে পারবেন কিভাবে একটি ব্লগ ওয়েবসাইটের জন্য ইউনিক, কোয়ালিটিফুল ও এসইও ফ্রেন্ডলী আর্টিকেল লিখতে হয়।

আর্টিকেল লেখার নিয়ম

আর্টিকেল হচ্ছে প্রবন্ধ বা নিবন্ধ। কোনো একটি বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত একটি ধারণা হচ্ছে আর্টিকেল বা ব্লগপোস্ট। ব্লগ বা অন্যান্য ওয়েবাসাইটে পোস্ট করা হয় আর এই পোস্ট হতে পারে আর্টিকেল বা নিউজ বা অন্যান্য। আপনার ব্লগে যদি আর্টিকেল প্রকাশ করুন তাহলে সেটি আর্টিকেল আর যদি নিউজ প্রকাশ করেন তাহলে সেটা নিউজ। তবে ঘুরে ফিরে কথা একটাই। আর্টিকেলকে কন্টেন্টও বলা হয়। 

আর্টিকেল লিখা হচ্ছে একটি আর্ট। আপনি একটা বিষয়কে নিজের মত করে উপস্থাপন করবেন। নিজের মত করে ব্যাখা বিশ্লেষন করবেন  তবে অবশ্যই নিয়ম মেনে করবেন। উল্টাপাল্টা বিভ্রান্তকর তথ্য লিখবেন না। ইন্টারনেট থেকে তথ্য সংগ্রহ করবেন তবে কপি করবেন না। এভাবেই আপনি একটি ইউনিক ক্রিয়েটিভ আর্টিকেল লিখতে পারবেন। এছাড়া নিচে আরোও বিস্তারিত দেখুন

বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম

প্রত্যেকটি কাজ শুরু করার জন্য কিছু নিয়ম রয়েছে তেমনই বাংলা ইউনিক ও হাই কোয়ালিটি আর্টিকেল লেখার নিয়ম রয়েছে। একটি ভালো মানের আর্টিকেল একটি ওয়েবসাইটকে র‌্যাংক করতে খুবই সহযোগীতা করে। নিচে আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:-

নিয়ম নিয়মগুলো অনুসরণ করে ইউনিক ও হাই কোয়ালিটি আর্টিকেল লিখতে পারবেন

  • আর্টিকেলের বিষয় নির্বাচন করা
  • আর্টিকেল নিয়ে গবেষনা
  • আকর্ষনীয় টাইটেল নির্বাচন করা
  • কিওয়ার্ড রিসার্চ করা
  • ভূমিকা বা সারাংশ দিয়ে শুরু করা
  • ফিচার ইমেজ/ছবি যুক্ত করা
  • হেডিং ও সাবহেডিং ব্যবহার করা
  • প্যরাগ্রাফ আকারে আর্টিকেল লেখা
  • পাঠকের চাহিদা অনুসারে লিখা
  • বড় করে আর্টিকেল লেখা
  • পাঠকদের জন্য আর্টিকেল লেখা
  • কিওয়ার্ড এর সঠিক ব্যবহার করা
  • বুলেট ও নাম্বার ব্যবহার করা
  • ইউনিক, ইন্টারেস্টিং ও তথ্যবহুল আর্টিকেল লেখা
  • ডেসক্রিপশন লেখা
  • সঠিক ক্যাটাগরি ব্যবহার করা
  • পারমালিংক ব্যবহার করা
See also  ব্যাকলিংক কি, কিভাবে ব্যাকলিংক তৈরি করবেন, Backlink SEO Tips 2023

আর্টিকেলের বিষয় নির্বাচন

আর্টিকেল লেখার পূর্বে আপনাকে একটি বিষয় নির্বাচন করতে হবে। আপনি যেই বিষয় নিয়ে আর্টিকেল বা কন্টেন্ট লিখতে চাচ্ছেন সেটি নির্বাচন করুন। আর্টিকেল লিখার ক্ষেত্রে অবশ্যই এমন বিষয় নির্বাচন করবেন না যেই বিষয়ের সার্চ ভলিয়ম নেই। যেহেতু আমরা আর্টিকেল লিখবো সার্চ ইঞ্জিনে র‌্যাংক করানোর জন্য। তাই বেশি সার্চ হয় এমন বিষয় নিয়ে আর্টিকেল লেখা। 

তবে কিছু বিষয় রয়েছে যেগুলো সার্চ হয় না। কিন্তু সামনে সার্চ হবে এমন চলমান কিছু বিষয় সেগুলো নিয়েও লিখতে পারেন। এছাড়া নতুন কোনো কিছু আবিষ্কার হতে চলছে সেগুলো ভবিষ্যতে সার্চ হবে সেগুলো নিয়েও লিখতে পারেন।

আর্টিকেল নিয়ে গবেষনা

আপনি যেই বিষয়ে আর্টিকেল বা কন্টেন্ট লিখতে চাচ্ছেন সেই বিষয়ে ভালো করে রিসার্চ করে নিন। এতে আপনার আর্টিকেল অনেক তথ্যবহুল হবে এবং সার্চ ইঞ্জিনে র‌্যাংক করবে। যেই বিষয়ে আর্টিকেল লিখবেন সেই বিষয়ে ইন্টারনেট ও অন্যান্য সূত্র যেমন- বিভিন্ন বই ও নিউজ ম্যাগাজিন ইত্যাদি থেকে তথ্য ও সুত্র সংগ্রহ করুন। একটু ভালো করে গবেষনা করলে একটি মানসম্পন্ন ইউনিক ও এসইও ফ্রেন্ডলী আর্টিকেল লিখতে পারবেন।

আকর্ষনীয় টাইটেল নির্বাচন

একটি আর্টিকেল কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা আর্টিকেল এর টাইটেল দেখলেই বোঝা যায়। আর্টিকেল অবশ্যই কিওয়ার্ড রিসার্চ করে এসইও ফ্রেন্ডলী করে লিখতে হবে। একজন ভিজিটর একটি আর্টিকেলের টাইটেল দেখে ভিজিট করে। একটি এসইও ফ্রেন্ডলী আর্টিকেলের টাইটেল এসইও ফ্রেন্ডলী হলে সেটা সার্চ ইঞ্জিনে দ্রুত র‌্যাংক করে।

উদাহরণ হিসেবে মনে করুন গুগল সার্চ ইঞ্জিনে মানুষ বেশি সার্চ করে ”আর্টিকেল লেখার নিয়ম” এটা লিখে। আর আপনি একটি আর্টিকেল লেখার সময় টাইটেলে ব্যবহার করলেন “কিভাবে আর্টিকেল লিখবেন” এভাবে। এভাবে হাতে গোনা কয়েকজন সার্চ করে থাকে। যেইভাবে বেশি মানুষ সার্চ করে সেই ভাবে টাইটেল দিলে তারাতারি ও উপরের দিকে র‌্যাংক করে।

কিওয়ার্ড রিসার্চ করা

আর্টিকেল লিখার পূর্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে কিওয়ার্ড রিসার্চ করা। কিওয়ার্ড হচ্ছে যেই বিষয়ে আর্টিকেল লিখবেন সেটার মূল বিষয়বস্তু । মানুষেরা গুগল বা অন্য সার্চ ইঞ্জিনে যা লিখে সার্চ করে সেগুলোই হচ্ছে কিওয়ার্ড যেমন- ”আর্টিকেল” শব্দটি একটি কিওয়ার্ড। 

কিওয়ার্ড এর অনেক ধরণ রয়েছে যেমন শর্টটেইল কিওয়ার্ড (ছোট কিওয়ার্ড) যেমন- ”আর্টিকেল”, লংটেইল কিওয়ার্ড (লম্বা কিওয়ার্ড) যেমন- ”আর্টিকেল লেখার নিয়ম” বাইউনিক ও এসইও ফ্রেন্ডলী আর্টিকেল লেখার নিয়মইত্যাদি। এছাড়াও কিওয়ার্ড এর আরও অনেক প্রকার রয়েছে।

কিওয়ার্ড রিসার্চ করার সময় একটি বিষয়কে মানুষ কিভাবে কিভাবে সার্চ করে সেগুলো খুজে বের করে নেওয়া। যেমন- ব্লগে পোস্ট লেখার নিয়ম, আর্টিকেল লেখার নিয়ম, বাংলা ব্লগ লেখার নিয়ম, কিভাবে আর্টিকেল লেখা যায় ইত্যাদি। কিওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য অনেক ফ্রি ও পেইড টুলস রয়েছে। সেগুলোর সাহায্যে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে পারবেন।

ভূমিকা বা সারাংশ দিয়ে শুরু করা

আর্টিকেল লেখা শুরু করার পূর্বে ১০০ থেকে ২০০ ওয়ার্ড এর মধ্যে একটি ছোট সারাংশ বা প্যারাগ্রাফ ব্যবহার করুন। ভূমিকা লেখা শুরু করার সময় পুরো আর্টিকেল এর মুল বিষয়বস্তু তুলে ধরুন যেন একজন পাঠক আপনার আর্টিকেল এর ভূমিকা পড়ে পুরো আর্টিকেল সম্পর্কে একটু ধারনা পেয়ে যায়। উপরে দেখুন: এই আর্টিকেলের শুরুর দিকে একটি ছোট সারাংশ দেওয়া রয়েছে।

See also  ব্লগিং ক্যারিয়ারে সফল হওয়ার উপায়, সফল ব্লগার হওয়ার উপায়, কিভাবে ব্লগার হওয়া যায়

ফিচার ইমেজ/ছবি যুক্ত করা

আর্টিকেল লেখার সময় আর্টিকেল এর সাথে মিল রেখে একটি ছবি ব্যবহার করবেন। ছবি বা ফিচার ইমেজ ব্যবহার করলে আপনার ওয়েবসাইটে যেমন সুন্দর দেখাবে তেমনই ছবি একজন ভিজিটরকে আকর্ষন করবে এবং এসইও শক্তিশালী করতে ভূমিকা পালন করবে। 

ছবি অবশ্যই গুগল এর নিয়মকানুন মেনে ব্যবহার করবেন। কোনো ধরনের কপিরাইট ছবি ব্যবহার করবেন না। ইন্টারনেট থেকে ছবি ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু ফ্রি স্টক ইমেজ পাওয়া যায় এমন ওয়েবসাইট থেকে ছবি ব্যবহার করতে পারেন।

হেডিং ও সাবহেডিং ব্যবহার করা

আর্টিকেল লেখার সময় অবশ্যই হেডিং ব্যবহার করবেন। হেডিং হচ্ছে <h1> <h2> এমন আরও ছয়টি ট্যাগ রয়েছে যেগুলো Major Heading, Heading, Subheading, Minor Heading ইত্যাদি নামে পরিচিত। নিয়ম ও জায়গামত এগুলো ব্যবহার করবেন। এই পোস্টে প্রত্যেকটা সেকশনে হেডিং ব্যবহার করে প্যারাগ্রাফ লিখা হয়েছে। সাবহেডিং হচ্ছে হেডিং এর আন্ডারে কিছু হেডিং যেমন- আর্টিকেল লেখার নিয়ম,  এই হেডিং এর আন্ডারে থাকতে পারে হেডিং ও সাবহেডিং ব্যবহার করা।

  • h1 = Major Heading
  • h2 = Heading
  • h3 = Subheading
  • h4 = Minor heading
  • h5 = Html View for h5
  • h6 = Html View for h6

প্যরাগ্রাফ আকারে আর্টিকেল লেখা

আর্টিকেল লেখার সময় প্রত্যেকটি হেডিং এর জন্য যা যা লিখবেন সেগুলো প্যারাগ্রাফ দিয়ে লেখা। এবং একটানা প্যারাগ্রাফ না লিখা। প্রত্যেকটি প্যারার মধ্যে ছোট ছোট করে লিখা যাবে পাঠকের পড়তে সুবিধা হয়। একটানা লিখলে পাঠক পড়তে চায় না। তাই আর্টিকেল ছোট ছোট প্যারা আকারে লিখা উচিৎ।

পাঠকের চাহিদা অনুসারে লিখা

ধরুন আপনার ওয়েবসাইট হেলথ রিলেটেড একটি ওয়েবসাইট। এখানে সবসময় হেলথ নিয়ে পোস্ট লিখেন। যারা এই বিষয়ে আগ্রহি তারা এখানে আসে। এখন আপনি হেলথ নিয়ে লিখা বাদ দিয়ে অন্য টপিক নিয়ে লিখা শুরু করলেন। এতে পাঠক হারাবেন পাশাপাশি নতুন পাঠক পেতেও অনেক দেড়ি হবে। আপনার পাঠকেরা কি চায় সেটার উপর নির্ভর করে আর্টিকেল লিখুন।

বড় করে আর্টিকেল লেখা

তথ্যবহুল আর্টিকেল অবশ্যই একটু বড় হবে এটাই স্বাভাবিক। যেমন এই আর্টিকেল একটু বড় হলেও আপনারা মনযোগ দিয়ে পড়তেছেন। এর কারণ হচ্ছে এখানে সব কথাগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর সার্চ ইঞ্জিনে আর্টিকেল র‌্যাংক করাতে বড় আর্টিকেল লেখা জরুরী। ১০০০ থেকে ১৫০০ ওয়ার্ড এ আর্টিকেল লিখবেন। যেহেতু আমাদের ওয়েবসাইট হলেও আমাদের মনমত লিখতে পারি না। কারন গুগলে আমাদের ওয়েবসাইটকে র‌্যাংক করাতে হয়। তাই বিশেষ করে প্রথম দিকে একটু বড় করে আর্টিকেল লিখবেন।

পাঠকদের জন্য আর্টিকেল লেখা

আর্টিকেল অবশ্যই পাঠকদের জন্য লিখবেন। এই কথাটির অর্থ হচ্ছে আমরা সার্চ ইঞ্জিনে আর্টিকেল র‌্যাংক করাতে গিয়ে পাঠকদের কথা ভূলে যাই। আর্টিকেল এর মধ্যে অপ্রয়োজনীয় কিওয়ার্ড বা শব্দ ব্যবহার করি যা একজন ভিজিটরদেরকে বিরক্ত করে। তাই আপনি সাজিয়ে গুছিয়ে একটি মানসম্মত আর্টিকেল লিখবেন।

কিওয়ার্ড এর সঠিক ব্যবহার করা

আমরা অনেকেই কিওয়ার্ড এর সঠিক ব্যবহার করি না। অপ্রয়োজনীয় জায়গায় ফোকাস কিওয়ার্ড দিয়ে রাখি। আপনি যদি মানসম্মত একটি আর্টিকেল লিখুন তাহলে অবশ্যই সেটি সার্চ ইঞ্জিনে র‌্যাংক করবে। তবে আর্টিকেল লিখতে গিয়ে যদি প্রয়োজন নেই এমন জায়গায় ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করেন তাহলে আপনার আর্টিকেল প্রথমে র‌্যাংক করলেও পরবর্তীতে সেগুলো ডাউন হয়ে যায়।

তাই আর্টিকেল লেখার সময় যেগুলো মানুষ সার্চ করে সেগুলোকে প্যারাগ্রাফের ভিতরে নিয়মমত লিখে দিবেন যেমন- এটাই হচ্ছে কিওয়ার্ড এর সঠিক ব্যবহার। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

বুলেট ও নাম্বার ব্যবহার করা

আর্টিকেল এর মধ্যে প্রয়োজন অনুসারে বুলেট ও নাম্বার ব্যবহার করা। যেমন আপনি যদি একটি বিষয় নিয়ে লিস্ট তৈরি করেন সেক্ষেত্রে নাম্বার ব্যবহার করবেন আর যদি কয়েকটি পয়েন্ট তুলে ধরেন সেই ক্ষেত্রে বুলেট ব্যবহার করবেন। 

See also  ব্লগিং কি? ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়, ব্লগিং কিভাবে শিখব ২০২৩

বুলেটের ব্যবহার ও সুবিধা

  • কয়েকটি পয়েন্ট তুলে ধরতে ব্যবহার হয়
  • এটাতে কোনো সিরিয়াল নম্বার থাকে না
  • প্রকারভেদ নির্দিষ্ট নয় এমন লিস্ট তুলে ধরতে
  • এই লিস্ট এ বুলেট ব্যবহার করা হয়েছে

নাম্বার এর ব্যবহার ও সুবিধা

  1. নিদির্ষ্ট প্রকার রয়েছে এমন লিস্ট তৈরি করতে
  2. নির্দিস্ট প্রকারভেদের লিস্ট তৈরি করতে
  3. যেই প্রকার পরিবর্তন হয় না এমন লিস্ট এর ক্ষেত্রে যেমন- বাক্য ৩ প্রকার
  4. নিচে ১০ টি উপায় বর্ণনা করা হলো। এই ধরনের লিস্ট তৈরি করতে

ইউনিক, ইন্টারেস্টিং ও তথ্যবহুল আর্টিকেল লেখা

আর্টিকেল অবশ্যই ইউনিক করে লিখতে হবে। অন্য কারো টা কপি করে বা দেখে দেখে লিখা যাবে না। পাঠক যেন আর্টিকেল সময় দিয়ে পড়ে তেমন ইন্টারেস্টিং করে লিখা। আর্টিকেল যেন তথ্যবহুল হয় সেদিকে খেয়াল রাখা। অপ্রয়োজনীয় শব্দ, বাক্য ব্যবহার না করা। যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু লিখা।

ডেসক্রিপশন লেখার নিয়ম

পোস্ট এর সার্চ ও ডেসক্রিপশন ও ওয়েবসাইটে মেটা ডেসক্রিপশন লিখা। প্রত্যেকটি আর্টিকেল লেখার সময় ওই আর্টিকেল এর ডেসক্রিপশন সেকশনে একটি আকর্ষনীয় ডেসক্রিপশন লিখা। কেউ যখন গুগলে আপনার কিওয়ার্ড লিখে সার্চ করবে তখন যেই ফলাফল গুলো লিংক আকারে আসে। আর সেই লিংকের নিচের ছোট ডেসক্রিপশন থাকে সেটাই আর্টিকেল এর টেকনিকেল অংশে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এতে আর্টিকেল সার্চ ইঞ্জিনে র‌্যাংক করতে ভূমিকা পালন করে।

ব্লগার ওয়েবসাইটে ডেসক্রিপশন লেখার নিয়ম হচ্ছে পোস্ট করার অপশনের পাশে (Search Description) নামে একটি অপশন পেয়ে যাবেন সেখানে আপনার কিওয়ার্ড সহ সুন্দর একটি ডেসক্রিপশন লিখে দিবেন। যদি (Search Description) অপশনটি না খুজে পান তাহলে সেটিংস এ গিয়ে Meta Tag > Enable search description এটা অন করে দিবেন।

সঠিক ক্যাটাগরি ব্যবহার করা

যেই বিষয়ে আর্টিকেল লিখছেন সেই বিষয়ে ১-২ টি ক্যাটাগরি নির্বাচন করে দেওয়া। যেমন এই আর্টিকেল এর ক্যাটাগরি হচ্ছে ব্লগিং এটার উপর ক্লিক করলে ব্লগিং সম্পর্কিত সকল পোস্ট দেখতে পারবেন। আপনি যখন একটি পোস্ট করবেন সেটার বিষয়ের উপর নির্ভর করে একটি বা দুইটি ক্যাটাগরি ব্যবহার করুন।

এবং ক্যাটাগরি পোস্ট এর ভিতরে ইন্টারনাল লিংক করে দিন। যেমন- উপরে দুইটি ক্যাটাগরি লিংক করে দিয়েছি। একজন ভিজিটর যখন এই লিংকে ক্লিক করবে তখন এই সম্পর্কিত সকল পোস্ট দেখতে পারবে।

পারমালিংক ব্যবহার করা

পোস্ট করার পূর্বে আর্টিকেল এর পামালিংক তৈরি করে নেওয়া। পোস্ট পাবলিশ করার পর এই পারমালিংক আর চেঞ্জ করা যায় না। তাই পোস্ট এর সাথে সম্পর্কিত কিওয়ার্ড দিয়ে পোস্ট এর পারমালিংক তৈরি করে নিবেন।

পারমালিংক তৈরি করার সময় কিওয়ার্ড এর সাথে মিল রেখে একটি আকর্ষনীয় পারমালিংক তৈরি করবেন। স্বাধারণ পারমালিংক দেখতে এমন হয়ে থাকে

NORMAL: https://www.provatitech.com/blog-post.html

অন্য দিকে কাস্টম পারমালিংক দেখতে এমন হয়ে থাকে। এখানে পোস্ট এর বিষয়বস্তু উল্লেখ করা থাকে। তাই এটি অন পেজ এসইও তে বেশ ভূমিকা রাখে। 

CUSTOM: https://www.provatitech.com/how-to-write-unique-article.html

তাই আর্টিকেল পাবলিশ করার পূর্বে দেখে নিবেন পারমালিংক ঠিক মত প্লেস হয়েছে কিনা। অনেক সময় পারমালিংক ভিতরে ঠিক দেখালেও পাবলিশ করার সময় চেঞ্জ হয়ে যেতে পারে তাই সিউর হয়ে নিবেন।

ইংরেজি আর্টিকেল লেখার নিয়ম

ইংরেজি আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে আপনাকে উপরের নিয়মগুলো অনুসরণ করে লিখতে হবে। তবে যেহেতু আপনার ভাষা বাংলা তাই ইংরেজি আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই ইংরেজি ভাষায় যথাযথ দক্ষতা অর্জন করে নিতে হবে। বর্তমানে ইংরেজিতে আর্টিকেল লেখার বিভিন্ন টুলস পাওয়া যায়। যেগুলো ব্যবহার করবেন না। এগুলো কখনই মানুষের মত আর্টিকেল লিখতে পারে না। 

আর গুগল এডসেন্স পেতে অবশ্যই ইউনিক ও ইন্টারেস্টিং কন্টেন্ট লিখতে হবে। এখন আপনি যদি ইংরেজি না বুঝে থাকেন তাহলে বুঝতে পারবেন না যে টুলস দিয়ে লেখা থাকলে সেটা কি ইন্টারেস্টিং হলো না কি। আর সেগুলো কখনই ইন্টারেস্টেং হয় না। রোবটিক একটা ফিল থেকে যায়। তাই অবশ্যই নিজে থেকে কন্টেন্ট লিখুন

পরিশেষে

পরিশেষে আর্টিকেল লেখা শেষ হলে এমন একটি উপসংহার লিখে দিবেন। আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে আরও কিছু টেকনিকেল বিষয় রয়েছে। এছাড়াও আর্টিকেল লেখার সময় বানান ভূল না করা। বাক্য সঠিক নিয়মে ব্যবহার করা ইত্যাদি অনেক বিষয় রয়েছে। উপরের নিয়মগুলো অনুরসণ করে আপনি ইউনিক, ইন্টারেস্টিং এসইও ফ্রেন্ডলী আর্টিকেল লিখতে পারবেন।